ভারতে বন্যার পানি কমার সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পানি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭৭ জন নিহত হয়েছে। পানি কমে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। একই অবস্থা অনেক সেতুরও। আর এক হাজার ২০০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিকিমের স্থানীয় সরকার। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সিকিমের বিভিন্ন এলাকায়গত গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা বর্ষণে বুধবার ভোরের দিকে সিকিমের দক্ষিণ লোকন হ্রদের পানি উপচে তিস্তায় মিশে উপত্যকা অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা শুরু হয়।
আসন্ন দিনগুলোতে হিমালয় পাদদেশের অঞ্চলগুলোতে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে থাকবে বলে সতর্ক করেছে বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে। আর এতেই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানবে।
সিকিমের ত্রাণ কমিশনার অনিলরাজ রাই ফোনে এএফপিকে বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে মোট ২৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ আর পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৪৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
সিকিমের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘বন্যার চার দিন পর তিস্তা নদীর পানির স্তর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। বন্যায় আটকে পড়া আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, রাস্তা, সেতু ও টেলিফোন লাইন ধ্বংসের কারণে উদ্ধার করা জটিল হয়ে পড়েছে।’