‘সেন্টার অব সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স’ স্বীকৃতি পেল হেইলিবেরি ভালুকা
শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স’-এর মর্যাদাপূর্ণ ‘সেন্টার অব সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে হেইলিবেরি ভালুকা। এই অঞ্চলের প্রথম স্কুল হিসেবে অনন্য এই সম্মানে ভূষিত হওয়া নিঃসন্দেহে হেইলিবেরি ভালুকা ও বাংলাদেশের শিক্ষাগত প্রেক্ষাপটের জন্য এক স্মরণীয় অর্জন।
শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ‘দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স’ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ ও কার্যকর নিরাপত্তা নীতির উন্নয়নে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের স্কুলগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হেইলিবেরি ভালুকা স্থানীয়ভাবে ‘বি-সেফ’ (বাংলাদেশ সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স ফর এডুকেটরস) নামে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে। সেন্টার অব সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স পরিচয়টি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা নীতিমালার প্রতি স্কুলটির দৃঢ় সংকল্পকে পুনর্ব্যক্ত করে। বাংলাদেশে সেন্টার অব সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স মনোনীত হওয়ার পর স্কুলটি দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুরক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্সের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্কুলে ও স্কুলের বাইরে শিশুদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা অনুশীলন নিশ্চিত করতে চায় হেইলিবেরি ভালুকা।
হেইলিবেরি ভালুকার প্রতিষ্ঠাতা হেডমাস্টার সাইমন ও’গ্রেডি বলেন, “শিক্ষা ও সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুলকে নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে আমরা বদ্ধপরিকর রয়েছি। শিশু-কিশোরদের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানদণ্ডের চর্চা সুনিশ্চিত করতে আমাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ফলাফল হিসেবে আমরা সেন্টার অব সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স স্বীকৃতি অর্জন করেছি। বি-সেফ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষমতা আরও জোরদার হবে।”
শিশু-কিশোর ও তরুণদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় সেরা অনুশীলনগুলো মেনে চলা নিশ্চিত করতে দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। বিভিন্ন দেশে নিজেদের সক্রিয় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রাতিষ্ঠানিক মানদণ্ড নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্সের সাথে অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে হেইলিবেরি ভালুকা, যা তরুণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও সুরক্ষায় তাদের নিবিড় প্রচেষ্টাকে আরও সংহত করে তুলবে।