ভারত থেকে ৪১ কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিচ্ছে কানাডা
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীর হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়েছে। ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিচ্ছে ট্রুডো প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কানাডা জানিয়েছে, ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আরও ৪২ জন সহযোগী কানাডায় ফিরে যাচ্ছে। ভারতের অবস্থানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত তারা নিতে বাধ্য হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেন, ‘ভারত কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় কোনো দেশই নিজেদের কূটনীতিকদের অন্য দেশে রাখতে পারে না। কানাডা সে কারণেই কূটনীতিদের ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে।’
ভারতে সব মিলিয়ে ৬২ জন কানাডীয় কূটনীতিক রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ৪১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাকিরা ভারতেই থাকছেন। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারত জানিয়েছে, কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তারা দেশটির কূটনীতিকদের ডেকে পাঠিয়েছিল। ফলে কানাডা আগে চরম পদক্ষেপ নিয়েছে।
কানাডার নাগরিকত্ব নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর ভ্যাংকুভারের কাছে একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, এ হত্যাকাণ্ডে ভারতীর এজেন্টদের হাত রয়েছে। ভারত বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
ভারত জানিয়েছে, কানাডা খালিস্তানিপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। নিজ্জর তাদেরই এক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে যারা স্বাধীন খালিস্তানি রাষ্ট্রের দাবি করছে। ইন্দিরা গান্ধী অপারেশন ব্লু স্টারের মাধ্যমে যার মোকাবিলা করেছিলেন কয়েক দশক আগে। তবে, কানাডায় ঢুকে নিজ্জরকে হত্যার যে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো করেছেন, ভারত তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রথম থেকেই দাবি করছে। কিন্তু, কানাডা তা মানতে রাজি নয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দুই মাসে উভয় দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।