কিডনিতে যে ধরনের রোগ হয়
দেশে প্রতিনিয়ত কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত ওজনসহ বিভিন্ন কারণে কিডনি রোগ হতে পারে। তাই কিডনির রোগ নিয়ে চিন্তার কোনো শেষ নেই। তাই আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে কিডনিতে যে ধরনের রোগ হয়, সেই সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ ও লক্ষণ সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক প্রো-ভিসি ও কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
কিডনিতে কী কী ধরনের রোগ হয়ে থাকে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কিডনি রোগীর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে এই রোগের বৃদ্ধির হারটা অনেক বেশি। এ ছাড়া কিডনির যেসব রোগ আমাদের দেশে বেশি দেখতে পাচ্ছি। তারমধ্যে মূত্রনালির ইনফেকশন অন্যতম। নেফ্রাইটিসজনিত কিডনি রোগ রয়েছে, যেটা কিডনির ছাঁকনির প্রদাহজনিত কারণে হয়।
তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ সারাবিশ্বে এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক হতে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপজনিত কিডনি রোগ। এ ছাড়া বিভিন্ন বংশগত কিডনি রোগ, পাথরজনিত কিডনি রোগ, ওষুধ সেবনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াজনিত কিডনি রোগ। আর কিছু কিছু আকস্মিক কিডনি রোগ আছে, যেটা আগের দিনে ডায়রিয়া থেকে হতো। বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা, ভূমি ধ্বস, বিল্ডিং ভেঙে পড়া এবং অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর হয়। এটাকে চিকিৎসকের ভাষায় অ্যাকিউট ইনজুরড বলা হয়। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক কিডনি রোগ হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাথার ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলে এই রোগ হতে পারে। বর্তমানে নতুন ধরনের ক্রনিক কিডনি রোগ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের কৃষি শ্রমিকরা অতিরিক্ত গরম ও প্রচণ্ড রোদে ঘাম ঝরিয়ে কাজ করার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আমাদের শস্যে যে ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর প্রভাবেও ক্রনিক কিডনি রোগ হচ্ছে। এর ফলে ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হয়, তেমন কিছু বুঝা যায় না। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ও প্রেসারসহ অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
যারা কৃষি জমিতে কাজ করছে তাদের সারাদিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, যাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে। তাদের দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করা উচিত। অর্থাৎ যতটুকু পানির ঘাটতি হচ্ছে তারসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পানি পান করা উচিত।
কোনো একজন মানুষের কিডনিজনিত সমস্যা হলে, তার লক্ষণগুলো আসলে কী কী হতে পারে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।