সাড়ে সাত ঘণ্টার স্পেসওয়াক করলেন রাশিয়ান নভোচারীরা
রসকসমস মহাকাশচারী ওলেগ কোননেনকো এবং নিকোলা চব ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) এর পোইস্ক মডিউল থেকে মহাশূন্যে পা রাখেন। এই দুই মহাকাশচারী ২৫ অক্টোবর মস্কো সময় রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে তাদের স্পেসওয়াক শুরু করেন এবং ৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট স্পেসওয়াক করেন। রাশিয়ান স্পেস কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট এ তথ্য জানায়।
স্পেসওয়াকের সময় মহাকাশচারীরা রেডিয়েটর হিট এক্সচেঞ্জারের হাইড্রোলিক সার্কিটগুলিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন, যা ৯ অক্টোবর লিক হয়েছিল। তারা কুল্যান্ট লিক অবস্থানটি পরিদর্শন ও ছবি তোলেন। যা পৃথিবীর বিশেষজ্ঞদেরকে কী কারণে লিক হয়েছে, তা শনাক্ত করতে সহায়তা করবে।
এ ছাড়াও মহাকাশচারীরা পারুস ন্যানো স্যাটেলাইট মুক্ত করেছে, যা বাউম্যান মস্কো স্টেট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা একটি সৌর পাল প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য তৈরি করেছিল। ন্যানো স্যাটেলাইটটি মস্কো সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মহাশূন্যে ছেড়ে দেয়া হয়। মুক্তির পাঁচ মিনিট পরে একটি সৌর পাল উন্মোচন করার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি।
মহাকাশচারীরা পৃথিবীর পৃষ্ঠ নিরীক্ষণের জন্য বহুমুখী পরীক্ষাগার মডিউল নাউকাতে রাডার ইনস্টল করেছিল। কিন্তু এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্মোচন করতে ব্যর্থ হয়। চব রাডারের প্যানেলগুলোকে ম্যানুয়ালি সঠিক অবস্থানে রাখার চেষ্টা করেছিল কিন্তু বেশ কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের একজন বিশেষজ্ঞ মহাকাশচারীদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ফিরে যেতে বলেন।
হিউস্টন-ভিত্তিক মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের একজন মুখপাত্রের মতে, মহাকাশচারীরা তাদের পরবর্তী স্পেসওয়াকের সময় এই সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করবে। তার কথায়, রাডার মহাকাশ স্টেশনের অপারেশনকে ব্যাহত করছে না। এটি ছিল কোনোনেনকোর ষষ্ঠ স্পেসওয়াক এবং চুবের জন্য প্রথম।
পরবর্তীতে নাসা মহাকাশচারী লোরাল ও’হারা এবং জাসমিন মোগবেইলি ৩০ অক্টোবর একটি স্পেসওয়াক পরিচালনা করবেন।