আরে ব্যাটা সাহস থাকলে দেশে আয়, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে, বাংলাদেশে ফিরে আয়। আমরা তোকে একটু দেখি।’
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দলটির নেতা কোথায়? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া জেলে। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি। এটা করেছি আমার ক্ষমতাবলে। আর তার ছেলে তারেক জিয়া ২০০৭ সালে রাজনীতি করবে না- এই মুচলেকা দিয়ে লন্ডন গিয়ে বসে আছে। ও এত টাকা কোথায় পায়? জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ও অস্ত্র চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত, মানিলন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত।’
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প ও সার কারখানা উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তারেক রহমানের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান পালিয়ে থাকে লন্ডনে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে যায়। লন্ডনে বসে সে এখানে আগুন জ্বালাতে বলে। আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে আয়। আমরা একটু দেখি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। ভোটের ও ভাতের অধিকার ছিল না। মিলিটারি ডিক্টেটররা দেশে এগুলো করেছে। আমরা আন্দোলন করে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন দেশে ভাতের সংকট নেই। তরকারি ও শাকসবজি এখন ভরপুর। আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষার্থীদের এখন টাকা দিয়ে বই কিনতে হয় না। আমরা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তির আওতায় এনেছি। আমরা জানি খালেদা জিয়া ও তার দলের লোকেরা চায় না- দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির সামনে এসে আন্দোলন করার সাহস নেই। তারা এখন গলিপথ থেকে বেরিয়ে এসে চোরাগুপ্তা হামলা করে অবরোধ পালন করছে। তারা প্রকাশ্যে পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে। তাদের হাত থেকে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীরাও মুক্তি পাচ্ছে না।’
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি হাসপাতাল করে দিয়েছি। আমরা ২৯ লাখ মানুষকে প্রতিবন্ধি ভাতা দিয়ে আসছি।’
জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা তা কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। খালেদা জিয়া দেশ একটু বিদ্যুৎও দিতে পারেনি।’