কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ‘ভুয়া’ লাইক নিয়ে তোলপাড়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তা দেখাতে ফেসবুক পেজের জন্য ‘ভুয়া লাইক’ কেনার অভিযোগ উঠেছিল কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেনের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ‘লাইক’ কেনার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এতেই শেষ হয়নি ঘটনা। কম্বোডিয়ার তরুণরা ‘ডিজিটাল ডাইনোসরকে রুখে দাও’ নামে অপর একটি পেজ খুলে তাঁর ওই উদ্যোগের প্রতিবাদ করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ফেসবুকে লাইক কেনার অভিযোগ অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৩ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একজন ‘ডিজিটাল ডাইনোসর’ দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর নামে ফেসবুকে একটি পেজ তৈরির পর এ পর্যন্ত তাতে ৩২ লাখ লাইক পড়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কম্বোডিয়ার দৈনিক ‘নমপেন পোস্ট’ এক প্রতিবেদনে জানায়, হান সেনের ফেসবুক পেজের বেশির ভাগ লাইকই দেশের বাইরে থেকে দেওয়া। শুধু ভারত থেকেই তাঁর ফেসবুক পেজে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৬৯২টি লাইক রয়েছে; এ ছাড়া ফিলিপাইন থেকে ৯৮ হাজার ২৬টি, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪৬ হাজার ৩৬৮টি করে লাইকসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে হান সেনের ফেসবুক পেজে লাইক রয়েছে।
এ ছাড়া কেবল গত সেপ্টেম্বর মাসেই হুন সেনের ফেসবুক পাতায় ৩০ লাখ লাইক পড়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। এ ছাড়া হুন সেনের ফেসবুক পাতায় যত লাইক পড়েছে তার অর্ধেকই এসেছে কম্বোডিয়ার বাইরে থেকে, বিশেষ করে ভারত থেকে।
বিষয়টি জানার পর কম্বোডিয়ার বিরোধী দলের নেতারা হান সেনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে লাইক কেনার অভিযোগ তোলেন। কম্বোডিয়ার নির্বাসিত বিরোধী নেতা স্যাম রেইনসি অভিযোগ করেন হুন সেন তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বিদেশিদের ভাড়া করছেন।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন ভারত এবং অন্য দেশের মানুষ যদি তাকে ভালো মনে করে লাইক দেন তাতে তিনি খুশি।