বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল ২৬ শতাংশেরও বেশি, বৈধ ১৯৮৫
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। ৩০০ আসনের বিপরীতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়ন বাধা উতরেছেন এক হাজার ৯৮৫ জন। আর বাছাই শেষে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ, ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের পেছনে রয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীর আসনের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতা, ঋণ খেলাপি, ফরম পূরণ সংক্রান্ত জটিলতা ও দ্বৈত নাগরিকত্ব ইত্যাদি। যদিও বাদ যাওয়া প্রার্থীরা করতে পারবেন আপিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাই আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) শেষ হয়। এদিন সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয় এসব তথ্য। তফসিল অনুযায়ী, এই যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে করতে পারবেন আপিল।
ইসিসূত্র বলছে, আপিলের জন্য ইতোমধ্যেই নির্বাচন ভবনে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ১০ আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তারা ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। ১০ ডিসেম্বর থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।’
ইসি সূত্র আরও জানায়, আপিল আবেদনগুলো শুনানি শেষে আপিলের ফলাফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আপিলের রায়ের অনুলিপি নির্দিষ্ট সিডিউল মোতাবেক নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।