দর কমার শীর্ষে মনোস্পুল পেপারের শেয়ার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ার দর গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) কমেছে ১১ শতাংশ। এই ধরনের কমাতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার টপটেন লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মনোস্পুল পেপারের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৫৪ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮৬ টাকা ৯০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির আট কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
তথ্য মতে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে মনোস্পুল পেপারের শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৬ পয়সা। আগের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৫৪ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ ১৯ টাকা ২৫ পয়সা। চলতি অর্থবছরের গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৩৩ পয়সা।
অপরদিক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে আট টাকা ২৭ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে নেগেটিভ ১৯ টাকা ৬২ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৭ টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ১৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫টি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৫ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তায় দর কমার তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে সী পার্ল বিচ। কোম্পানিটির শেয়ারটির দর কমেছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ওই তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শমরিতা হাসপাতালের ১০ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, সমতা লেদারের আট দশমিক ৮৩ শতাংশ, এশিয়ার টাইগার সন্ধানী লাইফের আট দশমিক ৮৩ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকের আট দশমিক ৪৪ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের আট দশমিক ২৭ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইলসের সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মেঘনা পেটের ছয় দশমিক ৯০ শতাংশ করে শেয়ার দর পতন হয়।