কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা গতকাল বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) থেকে সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ভবন ও ৩০ তলা ভবনের বিভাগগুলোতে আগের মতো প্রবেশ, যাতায়াত বা সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিভাগেই সংবাদকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। আর কয়েক দিন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনে অবস্থিত বিভাগগুলোতে সংবাদকর্মীদের যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছিল না। ওই সময়ে সিআইডি কর্মকর্তাদের তদন্তকাজের অজুহাত দেওয়া হলেও গভর্নর ভবনে কোনো কারণ ছাড়াই সংবাদকর্মীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সংগ্রহে বেশ বেগ পেতে হয় কর্মরত সাংবাদিকদের। এর পর থেকে সংবাদ সংগ্রহে সংবাদকর্মীরা ব্যাংকটির প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও সাবেক অর্থ সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ। তাঁরা এই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। ডেপুটি গভর্নর বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। গভর্নর ফজলে কবিরও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুধবার বিকেলের মধ্যেই সমস্যা সমাধানের কথা জানান। এর পর গতকাল রাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৮০৮ কোটি টাকা চুরি হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারি। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে গত ১৫ মার্চ গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ড. আতিউর রহমান। একই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে সাবেক সচিব ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে কবিরকে নিয়োগের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এসব ঘটনার পর তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির বিভিন্ন বিভাগে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়।