সিরিয়ায় হামলায় আইএসের উপপ্রধান নিহত : যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ওপর হামলায় সংগঠনটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা নিহত হয়েছেন বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার জানান, আইএসের উপপ্রধান আবদুল রহমান মুস্তাফা আল কাদুলি ও অন্যদের মৃত্যুর ফলে সংগঠনটির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। ইরাকের নাগরিক কাদুলির বিস্তারিত পরিচয় জানাননি তিনি। হাজি ইমাম নামেও পরিচিত ছিলেন কাদুলি।
সংবাদ মাধ্যম এনবিসির সংবাদে বলা হয়, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে কাদুলি নিহত হয়েছেন।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, সেনারা হেলিকপ্টারে গিয়ে অবতরণ করে অপেক্ষা করতে থাকেন এবং এক সময় কাদুলির গাড়ি তাদের অতিক্রম করে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, কাদুলিকে জীবিত আটক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি হয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা কাদুলিসহ চারজনের ওপর হামলা চালায় সেনারা। কাদুলিকে ধরতে ৭০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওয়াশিংটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যাশটন কার্টার বলেন, ‘আমরা ক্রমেই আইএসের মন্ত্রিসভাকে নির্মূল করছি।’ তিনি বলেন, কাদুলি একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। বহিঃসম্পর্ক ও অভিযান তাঁর হাত ধরেই রক্ষা হতো।
১৯৫৭ বা ৫৯ সালে ইরাকের মসুলে জন্ম নেওয়া কাদুলি ২০০৪ সালে আল-কায়েদায় যোগ দেন। ২০১২ সালে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যোগ দেন আইএসে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, গত বছর আইএসের উপপ্রধান কাদুলিকে শনাক্ত করা হয় এবং তিনি সেই সময় আবু আলা আল-আরাফি নামে পরিচিত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিমান হামলায় আহত আইএসের প্রধান নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি হওয়ায় কাদুলি সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আইএসের এ নেতাকে নির্মূল করার মধ্য দিয়ে ইরাক ও সিরিয়া এবং এর বাইরে হামলার সামর্থ্য নষ্ট হয়ে যাবে।’