নওগাঁয় দুটি রাইস মিলকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, গুদাম সিলগালা
নওগাঁয় অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযানে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ধান-চালের মজুদ রাখায় অন্তর রাইস মিল ও থ্রিষ্টার রাইস মিলের দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্তর রাইস মিলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে ১৮৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখার অপরাধে এক লাখ টাকা এবং থ্রিষ্টার রাইস মিলে ৮২ মেট্রিক টন ধান মজুদ রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সাথে সাথে তা আদায় করা হয়।
গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এলাকায় অবস্থিত ওই দুটি মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার বসু। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলে গতকাল রাত ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এলাকায় অবস্থিত অন্তর রাইস মিল ও থ্রিষ্টার রাইস মিল দুটিতে অবৈধভাবে ধান চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। আমাদের মজুদ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার হাপানিয়া এলাকায় রাইস মিল দুটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে লাইসেন্স এর শর্ত ভঙ্গ করে নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় ধরে মিলে ১৮৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অন্তর রাইস মিলের মালিক বৈদ্যনাথ সরকারকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং থ্রিষ্টার রাইস মিলের মালিক একরামুল হককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, অন্তর রাইস মিল সিলগালা করা হয়েছে এবং থ্রিষ্টার রাইস মিলে মজুদকৃত ধান আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়া শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা আরও জানান, গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলাসহ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৬৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, অটোমেটিক রাইস মিল ও হাস্কিং রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, লাইসেন্স বিহীনভাবে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ করার অপরাধে নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন আছে। নওগাঁর ধান চালের বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অবৈধ মজুমদারের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।