জনগণের কল্যাণে কাজ করতে বৌদ্ধ নেতাদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করুন। শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভাল থাকার চিন্তা না করে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করবেন।’
আজ বুধবার (২২ মে) বিকেলে বঙ্গভবনে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহামতি বুদ্ধ স্থান-কাল-পাত্রের ঊর্ধ্বে উঠে পৃথিবীর সব জীবের কল্যাণ ও সুখ কামনা করেছেন।’ বৌদ্ধ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে আপনারা বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষকে শান্তি ও সৌহার্দের শিক্ষা দেয়। প্রতিটি ধর্ম থেকে যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ করতে হবে এবং নিকৃষ্ট পরিত্যাগ করতে হবে। মানুষের কল্যাণের জনাই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়। মনে রাখতে হবে ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের নয়।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজ বিশ্বের বহু স্থানে মানবাধিকার ভুলুষ্ঠিত হচ্ছে এবং লোভ-লালসা, ঈর্ষা, প্রতিহিংসার মতো কুপ্রবৃত্তি সমাজের শোষণ-বঞ্চনা বাড়াচ্ছে। দেশে দেশে যুদ্ধবিগ্রহ ও বিশ্ব অর্থনীতিকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
বঙ্গভবনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপনে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানা বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা জানান। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারাও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে আটশর বেশি অতিথিসহ এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তি যোগ দেন। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।