পোশাকশিল্পের রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
পোশাকশিল্পের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের বিশেষ সহায়তা খুবই প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি। এসময় তিনি পোশাকশিল্পের রপ্তানির উন্নয়নে সরকারের কাছে আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর দশমিক পাঁচ শতাংশ করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করা এবং প্রণোদনার নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার পাঁচ শতাংশ করার দাবি রাখেন।
এ ছাড়াও ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখা, পোশাকখাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাটমুক্ত, শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ তহবিল বরাদ্দ, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির উপর কর রেয়াত সুবিধা সহ ইআরকিউর উপর আয়কর ১০ শতাংশ করার দাবি রাখেন তিনি।
আজ শনিবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিজিএমইএ পর্ষদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব দাবির কথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, সিদ্দিকুর রহমান সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
মতবিনিময় সভায় এস এম মান্নান কচি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাকশিল্প হতে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েছি আমরা। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা আমাদের প্রয়োজন। সহায়তা না পেলে এই লক্ষ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
সরকার বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থনীতিকে পরিচালনা করছে মন্তব্য করে এস এম মান্নান কচি বলেন, এর ফল আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাচ্ছি। আমাদের একান্ত প্রত্যাশা, সরকার শিল্পের জন্য সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। পোশাকশিল্পের এই সহযোগিতা কোনো কারণে বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবো, বিনিয়াগে বাধাগ্রস্ত হবে। পিছিয়ে পড়বে আমাদের এই পোশাকশিল্প।
বর্তমানে আমাদের সরাসরি রপ্তানিকারী কারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে দুই হাজার ২০০টিতে নেমে এসেছে জানিয়ে এস এম মান্নান কচি বলেন, আমরা যদি কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে রপ্তানি আরও বাড়তো। সৃষ্টি হতো নতুন কর্মসংস্থান। বড় হতো আমাদের বাজার। বিশ্ববাজারে আমাদের শেয়ার মাত্র ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আমাদের সামনে সুযোগ অপরিসীম। সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাকখাত দারিদ্র্যমুক্ত ও স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।