কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত, অচল পাবিপ্রবি
কর্মকর্তাদের অব্যাহত কর্মবিরতির ফলে অচল হয়ে পড়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। ১৫ দফা দাবিতে পাঁচ দিন ধরে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে পাবিপ্রবির অফিসার অ্যাসোসিয়েশন।
অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরের করিডোরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে এবং স্লোগান দিচ্ছে। তাদের অভিযোগ প্রহসনমূলক তদন্তের নামে বছরের পর বছর হয়রানি, আক্রোশমূলকভাবে উপরেজিস্ট্রার রেজাউল হকের বেতন-ভাতা মাসের পর বন্ধ রাখা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, এসব বিষয় সুরাহার জন্য বারবার উপাচার্য হাফিজা খাতুন ও রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দিলেও তাঁরা তাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সর্বশেষ গত ২১ মে ১৫ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং ২৮ জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। উপাচার্য অফিসারদের ডেকে ধমক দেন এবং কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বলেন। রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষরে নামমাত্র দুটি কমিটি গঠন করা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গত ৮ জুন থেকে কর্মকর্তা ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।
এই কর্মবিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। পবিত্র ঈদ উল আজহা সামনে রেখে ছাত্রদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলেও অফিস চালু থাকার কথা ছিল্ কিন্তু কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু কতিপয় অসৎ কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্য হাফিজা খাতুন একটি সিন্ডিকেট করে কর্মের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। সাধারণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে রাখা, বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার এসবের প্রতিকারে বারবার স্মারকলিপি দিলেও উপাচার্য তাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।’
কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনার রশিদ ডন বলেন, ‘একজন অযোগ্য ভিসি কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দালালচক্র মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।’
এ বিষয়ে উপাচার্য হাফিজা খাতুন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমি একাধিকবার বসেসি। দুটি কমিটি করে দিয়েছি। কিছু আইন-কানুনের ব্যাপার আছে, যা দাবি করলেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’