ম্যাক্রোঁর দল হারলে কী ঘটবে ফ্রান্সের ভাগ্যে?
ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রোববার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা পর্যন্ত। যদি প্যারিসের মতো বড় শহরগুলোতে বর্ধিত সময়ে চলবে ভোটগ্রহণ। এই ধাপে ২৫ শতাংশের কম ভোটে প্রার্থীরা জয় পেলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় ধাপে। এভাবে নির্বাচিত হবেন ৫৭৭টি পার্লামেন্টার মেম্বার। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, তিনি পদত্যাগ করবেন না। এএফপি ও আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ম্যাক্রোঁর দল হারে এবং ডানপন্থী বা বামপন্থী দল জেতে, তাহলে ক্ষমতা ভাগাভাগি হবে। সেক্ষেত্রে সরকার ও নেতৃত্বে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের দেখা যাবে।
এমন ঘটনা ফ্রান্সে তৃতীয়বারের মতো ঘটল। যখন সমাজতান্ত্রিক লিওনেল জোসপিন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের অধীনে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনও এমনটি ঘটেছিল। ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জ্যাক শিরাক। ইরাকে আক্রমণের বিরোধিতা করে আলোচনায় ছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
যদিও দেশের আভ্যন্তরীণ যাবতীয় বিষয়ের অধিকাংশ ক্ষমতা থাকে সরকারের, তবে সামরিক প্রধান ও বৈদেশিক বিষয়াদীতে হস্তক্ষেপের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের।
যেহেতু ম্যাক্রোঁর ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার আইনি ক্ষমতা আছে, সেহেতু আরও তিন বছর তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন। পার্লামেন্ট কিংবা সরকার, কেউ তাকে এর আগে সরাতে পারবে না। অন্যদিকে, যদি নির্বাচনের ফলাফল ম্যাক্রোঁর পক্ষে না থাকে, তবে তাকে নতুন পার্লামেন্টকে অন্তত এক বছর মেনে নিতে হবে। এরপর তিনি আবারও নির্বাচনের ডাক দিতে পারবেন।