ভাগ্নে-ভাগ্নি হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ভগ্নিপতির সঙ্গে টাকা লেনদেনের ক্ষোভে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামা বাদল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বাদল মিয়া কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খুদাদাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে। খুনের শিকার শিফা আক্তার (১৪) ও তার ছোট ভাই মেহেদি হাসান কামরুল (১০) বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের কামাল হোসেনের সন্তান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদল বাহরাইনে থাকাকালে দোকানঘর করতে তাঁর ভগ্নিপতি কামালের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে কামাল বাদালকে থাপ্পড় মারেন। এতে বাদল ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে ভগ্নিপতির বাড়িতে তার থাকার কক্ষে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে ভাগ্নে মেহেদী হাসান কামরুল ও ভাগ্নি শিফাকে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে ২৬ আগস্ট ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত দ্রুত এই মামলার রায় দিতে সক্ষম হন।