নেপালে ১৯ আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় ১৯ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে। বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুরের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, ‘পোখরাগামী উড়োজাহাজটিতে ক্রুসহ ১৯ জন ছিলেন।’
নেপালের পুলিশ জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় পাইলট বেঁচে গেলেও প্লেনে থাকা ‘অনেকে’ মারা গেছেন।
নেপালি পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি এএফপিকে জানান, সূর্য এয়ারলাইন্সের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটিতে দুজন ক্রু এবং ওই কোম্পানির ১৭ জন কর্মী ছিলেন।
দান বাহাদুর কারকি আরও বলেন, ‘পাইলটকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উড়োজাহাজে থাকা অন্য আরোহীদের অবস্থা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে হয়তো বেঁচে নেই।’
নেপালের সেনাবাহিনীর শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির কাঠামো বিভক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা প্রদান শুরু করেছে।
নিউজ পোর্টাল খবরহুব জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি রানওয়েতে পিছলে যাওয়ার পর এটিতে আগুন ধরে যায়। উড়োজাহাজটির নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার কথা ছিল।
উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নেপালের বেদনাদায়ক স্মৃতি রয়েছে। দেশটিতে কয়েক দশক ধরে ছোট উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জর্জরিত দেশটির উড়োজাহাজ পরিষেবা খাত। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপালে সব ধরনের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।
নেপালের সর্বশেষ বড় বাণিজ্যিক ফ্লাইট দুর্ঘটনাটি ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ পোখারায় অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭২ জন আরোহীর সবাই মারা যায়।
১৯৯২ সালে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ১৬৭ জন আরোহী মারা যায়। ওই বছরের শুরুতে একই বিমানবন্দরের কাছে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়, এতে ১১৩ জন নিহত হয়।