চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলা মেনে নেওয়া যায় না : সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলা মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের ওপর যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের ওপর যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। যদি কোনো পেশেন্টের মৃত্যুর জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বা কোনো ডাক্তার দায়ী থাকে, তবে তদন্তসাপেক্ষে তারও বিচার হতে হবে। কিন্তু আমার মনে হলো আর আমি কারও গায়ে হাত তুলে ফেললাম, এই স্পর্ধা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা সোচ্চার আছে।’
গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) চিকিৎসার অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে তিনজন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। তার জেরেই রোববার চিকিৎসকরা সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢামেক সূত্র জানায়, প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে হট্টগোল হয়। মৃত শিক্ষার্থীর নাম আহসানুল ইসলাম (২৫)। আহসানুল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলায় একজন মারা যান। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
অপরদিকে রাতে বিষপান করে হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এরপর থেকে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।