স্মরণ
সীমান্ত ছিল ডায়নামিক লিডারশিপের অধিকারী
জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকন গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ শোবিজ অঙ্গনের বিভিন্ন তারকা। তার মধ্যে অন্যতম নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর লিখেছেন, ঢাকায় প্রতিষ্ঠা পাবার পর সবচেয়ে গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল সীমান্ত খোকনের সাথে। সীমান্ত দৈনিক মানবজমিনে সাংবাদিকতা করতো। ডাকসাইটে এবং প্রভাবশালী ছিল কম্যুনিটিতে। আমার গান আর সীমান্ত'র সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার সমসাময়িক। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কেটে গিয়েছে আড্ডায় আড্ডায়।
তখন তরুণ সাংবাদিকদের আলাদা প্ল্যাটফর্ম ছিলনা, অন্যান্য সংগঠনগুলোতে এরা মিশে যেত। আমি চাচ্ছিলাম তরুনদের জন্য আলাদা সাংবাদিক সংগঠন তৈরী করতে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলো কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম, বাংলাদেশ (সিজেএফবি), সীমান্ত খোকনের সাথে যোগ দিয়েছিল আরো সাংবাদিক বন্ধু মোর্শেদ নোমান, এসএম রানা, এনাম সরকার, আফরাদ রনি। সঙ্গে ছিল তাদের ইমিডিয়েট জুনিয়র একঝাঁক তরুন, তারা সবাই এখন বিনোদন জগতে প্রতিষ্ঠিত। সিজেএফবি হয়ে উঠলো সবচেয়ে শক্তিশালী বিনোদন সাংবাদিক সংগঠন।
সীমান্ত খোকন পরবর্তীতে যোগ দেয় এনটিভিতে, ক্রমান্বয়ে বার্তা সম্পাদক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে। বছর দুয়েক আগে একসাথে গিয়েছিলাম তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের তারাইলে। ব্যক্তিজীবনে সীমান্ত ছিল ডায়নামিক লিডারশীপের অধিকারী। অনেক গভীর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল আমাদের। দুপুরে শুনলাম সীমান্ত খোকন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমার উঠতি ক্যারিয়ারকে নির্বিঘ্ন করতে সীমান্ত'র ভূমিকা কোনদিন ভুলে যাবোনা। সীমান্ত আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি, মহান আল্লাহ আপনার পরিবারকে এই শোক বইবার শক্তি দিন। আমিন।
লেখক : সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।