বাংলাদেশের সামনে একটা পথই খোলা—‘জয়’
গত কয়েক বছরেই বাংলাদেশের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। দুদলের শক্তি-সামর্থ্যের পার্থক্য ত্রমেই কমে আসছে। কখনও কখনও বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী মনে হয় আফগানদের। চলমান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে তারা সেটি বুঝিয়ে দিয়েছে। আর প্রথম ওয়ানডে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের সামনে একটিই পথ খোলা—জয়! নাহলে এক ম্যাচ আগেই হারাতে হবে সিরিজ।
অজুহাতের শেষ নেই বাংলাদেশ দলের। প্রতিটি হারের পরই কারণ থাকে ক্রিকেটারদের কাছে। তাদের মতে সেসব যুক্তিসঙ্গত হলেও, আদতে এসব পুরোনো আলাপ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে যেমন হার এসেছে ব্যর্থতার পুরোনো ধারা মেনেই। বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তা-ই জিততেই হবে। এমন লক্ষ্য মাথায় নিয়েই আজ আফগানদের মুখোমুখি হবে শান্তরা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
ম্যাচের আগের দিন গতকাল গণমাধ্যমের সামনে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার মতে বাংলাদেশ প্রায় সাত-আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেছে। পাশাপাশি শারজার এই মাঠও অচেনা। ২৯ বছর এখানে ওয়ানডে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে মিরাজ যেন বোঝাতে চাইলেন, লম্বা বিরতির পর নামাতেই সমস্যা হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে, আশার কথাও শোনালেন বাংলাদেশ দলের সহঅধিনায়ক।
মিরাজ বলেন, ‘আমরা একটা ম্যাচ খেলেছি এখানে। এই মাঠে খেলার পর একটা ধারণা হয়েছে এখানকার অবস্থা সম্পর্কে। আমরা ওয়ানডেও খেলেছি সাত-আট মাস পরে। সবাই অনুশীলনে জোর দিচ্ছে, ম্যাচে কীভাবে মোমেন্টাম নিতে হয়। পরের দুই ম্যাচ না ভেবে, দ্বিতীয় ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি আমরা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি সবাই।’
তার মানে দাঁড়ায় বাংলাদেশ প্রস্তুত দ্বিতীয় ওয়ানডের জন্য। প্রথম ম্যাচে যে মোমেন্টাম ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দিয়েছেল আফগানরা, সেটি ধরতে অনুশীলনেও জোর দিচ্ছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এমন ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অবশ্য পাচ্ছে না দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে। চোট তাকে ছিটকে দিয়েছে সিরিজ থেকে। তবু, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। বাকিটা বরাবরের মতোই মাঠে দেখা যাবে। কারণ, কথার লড়াইয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জয়ী হয়ে আছেন বড় ব্যবধানেই।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।