ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘গেটওয়ে টু ইউকে এডুকেশন ২০২৪ সিম্পোজিয়াম’
স্কুল, শিক্ষা পরামর্শক (এজেন্ট), কাউন্সিলর ও যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৭৮ জন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি ‘গেটওয়ে টু ইউকে এডুকেশন ২০২৪ সিম্পোজিয়াম’ আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। রাজধানীর ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা যেন যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক তথ্য ও পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে সেই উদ্দেশে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগের পাশাপাশি তাদের পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞ বক্তাদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার এবং তাদের কাছ থেকে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। যুক্তরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে মানিয়ে চলার ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কেও জানতে পারেন তারা।
আয়োজনের মূল সেশন হিসেবে যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা তুলে ধরেন নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ইউকে ভিসাস অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের কাস্টমার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার দিব্যা মালহোত্রা। তিনি সাধারণ ত্রুটিগুলো এড়িয়ে যথাযথভাবে আবেদন করার বিষয়ে বাস্তবমুখী পরামর্শ দেন। পরে, স্কলাস্টিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর মারিয়াম হক মৌসুমী সাম্প্রতিক ইউসিএএস (ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিস) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। আবেদন প্রক্রিয়ার কৌশল সমৃদ্ধ করার উপায় তুলে ধরেন তিনি। এরপর, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে যথাযথ করণীয় নিশ্চিত করতে এজেন্ট ও কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় রিসোর্স ও প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফর হাইয়ার এডুকেশন সরকার আসিফ ইকবাল।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন তৌফিক হাসানের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সিম্পোজিয়ামটি শেষ হয়। আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ও বক্তাদের আগ্রহ-উদ্দীপনার প্রতি প্রশংসা জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিলে, আমাদের লক্ষ্য হল যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও ইংরেজি শিক্ষার প্রচারের মাধ্যমে সংযোগ, সম্পর্ক ও বিশ্বাস জোরদার করা। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মোবিলিটি সহজতর করা এই লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু, কারণ এটি আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে, বৈশ্বিক মনোভাবের প্রসার করে এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক তৈরি করে। এই লক্ষ্য পূরণে শিক্ষা পরামর্শক (এজেন্ট), কাউন্সিলর ও যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি বিশ্বাস করি, একসাথে কাজ করলে আমরা অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থীদের জীবনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।”
আন্তর্জাতিক শিক্ষার সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের অবস্থান তুলে ধরতে এবং শিক্ষার্থীদের সফলতার উপায় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে কাউন্সিলর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এজেন্টদের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।