নওগাঁয় গুলিবিদ্ধ যুবদলনেতার মৃত্যু
নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হওয়ার ২৩ দিন পর মারা গেছেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ (৫০)। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে শহরের সাহাপুর এলাকায় নিজ বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল মজিদকে গুলি করে। এ সময় তাঁর দুই ভাই কাবিল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারা তাঁদেরও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার পর গুলিবিদ্ধ আব্দুল মজিদ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আব্দুল মজিদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে আব্দুল মজিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে আব্দুল মজিদকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দিতে গতকাল সকালে বাসায় নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর রাতে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মৃত্যু হয়। আহত হওয়ার ২৩ দিন পর তাঁর মৃত্যু হলো।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে আব্দুল মজিদ মরদেহ সাহাপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আব্দুল মজিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি আরিফ দেওয়ানসহ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।