রায়পুরায় ‘বিদ্রোহী’ সমস্যায় আওয়ামী লীগ
দেশের অন্যতম বৃহৎ উপজেলা রায়পুরার ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বেশ কিছু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।
এরই মধ্যে উপজেলার রাধানগর ও চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সাদেক ও খোরশেদ আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ওই দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ ছাড়া বাকি পদগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া একটি ইউনিয়নে নদী ভাঙনের ফলে বহু পরিবার পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই দিন-রাত গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠনে সচেষ্ট রয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহীর প্রার্থীরা নিজেদের মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিদিন এলাকা ঘুড়ে ঘুড়ে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন। অভিযোগ –পাল্টা অভিযোগ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কেউ ব্যতিব্যস্ত রাখছে প্রার্থীরা।
অন্যদিকে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে তুমুল তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে সমর্থকরা। যেকোনো উপায়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে এলাকাভিত্তিক ঐক্য গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই নির্বাচনকে ঘিরে একটি তুমুল ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতিই নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আর তাদের এই খেলায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানো মহেশপুর ইউপির চান মিয়া, মুছাপুর ইউপির মোস্তফা কামাল, মির্জানগর ইউপির হুমায়ুন কবির সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু রায়পুরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। সেই আওয়ামী লীগেই এখন বিদ্রোহের সুর।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা এলাকায় তুলনামূলক কম জনপ্রিয়। এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাল্লাই ভারী বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে। আমিরগঞ্জ, চরসুবুদ্ধি, মির্জানগর, মুছাপুর, নিলক্ষা ইউনিয়নে তাঁদের পক্ষেই জনমত বেশি।