সাত বাংলাদেশি নারীকে নির্যাতন, দম্পতি অভিযুক্ত
বাংলাদেশের সাত নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরের এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী। সিঙ্গাপুরের মানবপাচার আইনে এই প্রথম কাউকে অভিযুক্ত করা হলো।
সিঙ্গাপুরের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম চ্যানেলনিউজএশিয়া জানায়, অভিযুক্ত সিঙ্গাপুরের নাগরিক বালাকৃষ্ণান (৫২) ও তাঁর নেপালি স্ত্রী খেমা ভট্ট (২৯) নিজের কর্মচারীদের নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ দেশটির শ্রমিক পাচার রোধ আইনের অন্তর্ভুক্ত।
আজ শুক্রবার সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, শহরের তারানা নামে এক পানশালার পরিচালক বালাকৃষ্ণান এবং এর ব্যবস্থাপক খেমা ভট্ট। তারানায় হিন্দি গানের সঙ্গে নাচগান এবং মদ বিক্রি হতো। এখানেই শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন সাত বাংলাদেশি নারী। বালাকৃষ্ণান ও খেমা ভট্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতা খাটিয়ে কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারে সাতটি অভিযোগ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের ২০১৪ সালের মানবপাচার রোধ আইন অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিঙ্গাপুরি দম্পতির ১০ বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া দণ্ড হিসেবে ছয়টি করে ছড়ির আঘাত দেওয়া হতে পারে।
সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সাত নারীকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খবর নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। মানসিক সুস্থতার জন্য পেশাদার কাউন্সেলিং সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য সিঙ্গাপুরের সাময়িক চাকরি পরিকল্পনা টিজেএসের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।