ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে সাতজন নিহত
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সাতজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার দক্ষিণাঞ্চলের সিনাবাগ পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। গতকাল রোববার পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছাইয়ের মেঘ দেখা যায়।
বিবিসি জানায়, অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পর পরই পার্বত্য অঞ্চলটি অনিরাপদ ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়া সরকার। নিহতরা ওই অনিরাপদ ঘোষিত এলাকায় কৃষিকাজ করছিল বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইন্দোনেশিয়ার সরকার জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এখনো অগ্ন্যুৎপাতের এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উষ্ণ গ্যাস ও ছাইয়ের মেঘে আরো মানুষ হাতাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিনাবাগ পার্বত্য অঞ্চলের নিকটবর্তী গাম্বার গ্রামে অভিযান চলছে। দুই বছর আগে অপর এক অগ্ন্যুৎপাতের সময়ও গ্রামটির অধিবাসীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সিনাবাগ পার্বত্য অঞ্চলের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাইয়ের মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।
ইন্দোনেশিয়ার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জাতীয় সংস্থার মুখপাত্র সুটোপো পুরও নাগরহো বলেন, আরো আগ্নুৎপাত হতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার অনেক অধিবাসী এলাকায় ফিরে যেতে চাইলে তাদের প্রতিরোধ করা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে সিনাবাগ পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে অপর এক অগ্ন্যুৎপাতে অনেক মানুষ নিহত হয়। আবার ২০১০ সালে একই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় ১২০টির বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে আট হাজার ৭০ ফিট উঁচু সিনাবাগ পর্বতের আগ্নেয়গিরি সবচেয়ে সক্রিয়।