মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের ১৫ বছর কারাদণ্ড
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির এক আদালত স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে বহনকারী একটি নৌকায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই নৌকায় তিনি এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বিস্ফোরণে আবদুল্লাহ ইয়ামিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তবে তাঁর স্ত্রীসহ কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন।
নৌকা বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ পরই তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আবদুল্লাহ ইয়ামিন হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের আদালতের রায়ে আবদুল্লাহ ইয়ামিন হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে আহমেদ আদিবকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ১০ বছর দণ্ড হয়েছে তাঁর। এ ছাড়া আদিবের দুই দেহরক্ষীকেও ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নৌকা বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন আহমেদ আদিব। তাঁর আইনজীবী মুসা সিরাজি বলেন, শিগগিরই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
আহমেদ আদিবের স্ত্রী মারিয়াম নাশওয়া স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালদিভস ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, বিচার স্বচ্ছ হয়নি। অভিযোগের তদন্তও কোনোভাবে শেষ হয়নি। আর আদিব যেন কিছু বলতে না পারে, এ জন্য রুদ্ধদার বিচার হয়েছে।
মালদ্বীপের সরকারি আইনজীবীর পক্ষ থেকে বরাবরই বোমার কারণে বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সংস্থাটির মতে, নৌকায় বিস্ফোরণে কোনো বোমা ব্যবহৃত হয়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রবল অন্তর্কোন্দল দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বরে নৌকা বিস্ফোরণে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে আহমেদ আদিবই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হতেন। আর এ কারণেই তাঁকে মূলত সন্দেহ করা হয়। এর আগের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ২০১২ সালে এক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। গত মাসে তিনি যুক্তরাজ্যে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেয়েছেন।