দক্ষিণ সুদানে সংঘর্ষ, শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা
দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর প্রেসিডেন্ট প্রসাদের কাছ থেকে এই সংঘর্ষ শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সেখানে প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং তাঁর এক সময়ের বিরোধী ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে আলোচনা চলছিল।
বিবিসি জানায়, বেশির ভাগ সূত্র থেকে নিহতের সংখ্যা শতাধিক বলা হচ্ছে। তবে এই সংখ্যা ১৫০ পর্যন্ত হতে পারে।
বিবিসি জানায়, সালভা কির এবং রিক মাচারের দেহরক্ষীদের মধ্যে গোলাগুলির মধ্য দিয়ে সংঘর্ষের শুরু হয়। পরে জুবা শহরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়া আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ভারী অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
গত ৯ জুলাই শুক্রবার ছিল দক্ষিণ সুদানের পঞ্চম স্বাধীনতা দিবস। ২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা দিবসে এমন সংঘাতকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেন সালভা কির এবং রিক মাচার।
গতকাল শনিবার দক্ষিণ সুদানের সাংবাদিক বিবিসিকে জানান, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আটকেপড়া সাংবাদিকরা অন্তত ১০০ মৃতদেহ দেখেছেন। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতরে এবং বাইরে এসব মৃতদেহ পড়েছিল।
জুবার এক হাসপাতালের চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, অনেক মৃতদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আর রিক মাচারপন্থী সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের সংঘর্ষে অন্তত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে সালভা কির জাতিগত এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সংঘাতে না গিয়ে দক্ষিণ সুদানি হিসেবে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে নিজেদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে ঐক্যের উৎস করার কথা বলেন সালভা কির।
বিবিসি জানায়, শনিবার জুবার পরিস্থিতি শান্ত দেখা যায়। শহরের অনেক স্থানে সামরিক বাহিনী রাস্তায় চেকপোস্ট বসায়।
সর্বশেষ গত বছর আগস্টে দক্ষিণ সুদানের দুই বিরোধী পক্ষ শান্তি চুক্তিতে একমত হয়। দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।