পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ১০ মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন এখন আধুনিক জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। আর বাজারে এই মোবাইল ফোনের দামের তারতম্যও ব্যাপক। কোনোটি একেবারেই সস্তা তো, কোনোটি রীতিমতো আকাশছোঁয়া মূল্যের। এর বাইরেও কিছু মণিমানিক্যখচিত ফোন রয়েছে, যেগুলো বানানো হয়েছে নিতান্তই বিশ্বের ধনকুবেরদের কথা মাথায় রেখে। ওয়ান্ডার্সলিস্টের সৌজন্যে জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনগুলোর পরিচয়।
১০. ভার্টু সিগনেচার ডায়মন্ড
তালিকার দশম স্থানটি অধিকার করে আছে লাক্সারি ফোন নির্মাণ করে বিখ্যাত ভার্টুর সিগনেচার ডায়মন্ড। প্লাটিনামের তৈরি এই ফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর পুরোটাই হাত দিয়ে বানানো, যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া গোটা ফোনজুড়ে বসানো আছে অনেক হীরা। মাত্র ২০০টি এই জাতীয় ফোন বানানো হয়েছে, একেকটির মূল্য ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার বা ৬৯ লাখ টাকা।
৯. আইফোন প্রিন্সেস প্লাস
আইফোনের এই বিশেষ মডেলটির দাম এক লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা)। ফোনটির সাজসজ্জায় সোনার পাশাপাশি ৩১৮ টুকরো হীরা ব্যবহার করা হয়েছে।
৮. ব্ল্যাক ডায়মন্ড ভিআইপিএন স্মার্টফোন
সনি এরিকসনের এই ফোনটিতে আছে পলিকার্বনিক স্ক্রিন আর অর্গানিক এলইডি প্রযুক্তি। নেভিগেশন বাটন আর ফোনের পেছনের অংশে বসানো আছে একটি করে হীরা। মূল্য হলো তিন লাখ মার্কিন ডলার বা দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকার মতো।
৭. ভার্টু সিগনেচার কোবরা
তালিকার ৭ নম্বর স্থানটিও ভার্টুর দখলে। সিগনেচার কোবরার নামকরণ একদম আক্ষরিক, কারণ ফোনটির দুই পাশে গোখরো সাপের প্রতিকৃতি স্থান পাচ্ছে। ফরাসি মণিকার বুশেরোঁর ডিজাইন করা এই ফোনে আছে একটি ডিম্বাকৃতির ও একটি গোল হীরা, দুটি পান্না এবং ৪৩৯টি চুনি পাথর। দাম পড়বে তিন লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
৬. গ্রেসো লুক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপট
২০০৫ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথম প্রদর্শিত হয় এই ফোন। ১৮০ গ্রাম নিখাদ সোনা দিয়ে মোড়ানো এই ফোনের ব্যাক প্যানেলটি বানানো হয়েছে প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন আফ্রিকান ব্ল্যাকউড দিয়ে, যা কি না পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ। এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই ফোনটির বাটনগুলো আবার আকাশি রঙের স্ফটিক দিয়ে তৈরি। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্যমান দাঁড়ায় সাত কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
৫. ডায়মন্ড ক্রিপ্টো স্মার্টফোন
অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত মণিকার পিটার অ্যালোইসন এই ফোনের সাজসজ্জা করেছেন। ফোনটির চারপাশে বসানো আছে ৫০ খানা হীরা, এর মধ্যে ১০টি আবার বিরল নীল রঙের। এ ছাড়া ফোনের কিছু কিছু অংশ সোনা দিয়ে তৈরি। মূল্য ১৩ লাখ মার্কিন ডলার বা ১০ কোটি টাকা মাত্র!
৪. গোল্ডভিশ লে মিলিয়ন
তালিকার ৪ নম্বরে আছে ইম্মানুয়েল গুইতের ডিজাইন করা লে মিলিয়ন। ২০০৬-এ কান উৎসবে ১৩ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রীত এই ফোন সে সময় পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছিল। হোয়াইট গোল্ড আর ২০ ক্যারেট হীরা দিয়ে ফোনটি সাজানো হয়েছে।
৩. আইফোন ৩জি কিংস বাটন
এ ফোনটির ডিজাইনারও পিটার অ্যালোইসন। ১৩৮ খানা হীরা দিয়ে সজ্জিত ফোনটির মূল্যমান ২৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা কি না বাংলাদেশি টাকার হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা।
২. সুপ্রিম গোল্ড স্ট্রাইকার আইফোন ৩জি
৩২ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) মূল্যমানের এই ফোনটির ২৭১ গ্রাম ওজনের কেসিংটি সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে তৈরি। স্ক্রিনের চারপাশে বসানো আছে ৫৩টি এক ক্যারেট ওজনের হীরা। হোম বাটনটি মুড়ে দেওয়া হয়েছে ৭ দশমিক ১ ক্যারেট ওজনের একটি ডায়মন্ড দিয়ে। এখানেই শেষ নয়, গোটা ফোনটির জন্য থাকছে গ্রানাইট পাথর কুঁদে তৈরি বাক্স।
১. ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোবাইল ফোনের আসনটি দখল করে রাখার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ আছে ডায়মন্ড রোজ আইফোন ৪-এর। আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফোনটির চারপাশে বসানো আছে ৫০০টি হীরা, যার ওজন সব মিলিয়ে ১০০ ক্যারেট। এ ছাড়া ফোনের পেছনে আইফোনের লোগোটি সজ্জিত করা হয়েছে আরো ৫৩টি হীরার টুকরা দিয়ে। এতেই শেষ নয়, ডায়মন্ড রোজের সামনের নেভিগেশন বাটনটি সম্পূর্ণ প্লাটিনামের তৈরি এবং এর ঠিক মাঝে বসানো আছে আট ক্যারেটের একটি মস্তবড় হীরা। এর বাংলাদেশি মূল্যমান প্রায় ৬২ কোটি টাকা।