জার্মানিতে অস্ত্র বিক্রি আইন কঠোর করার আহ্বান
জার্মানির অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণের আইন আরো কঠোর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরা। গত শুক্রবার মিউনিখে বন্দুকধারীর গুলিতে নয়জন নিহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাবি উঠেছে।
জার্মানির ভাইস-চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেন, মানুষের হাতে অস্ত্র পাওয়া কমাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে। আর জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মেইজিয়ার বলেন, তিনি অস্ত্র বিষয়ক আইন পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনা করছেন।
গত শুক্রবার মিউনিখের একটি বিপণিবিতানে হামলা চালিয়ে নয়জনকে হত্যা করে ডেভিড আলী সানবলি নামে তরুণ। জার্মানি ও ইরানের এই দৈত্ব নাগরিক নিজেও আত্মহত্যা করে। ওই হামলায় আরো ২৭ জন আহত হন, যাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। জানা গেছে, মিউনিখ হামলাকারী ডেভিড আলী সানবলির কাছে কাছে একটি পিস্তল এবং ৩০০টি গুলি ছিল। কোনো অস্ত্র কেনার অনুমোদন ছিল না সানবলির।
জার্মানির ভাইস-চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও সানবলি কীভাবে এত অস্ত্র পেল তা খতিয়ে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের কঠোর অস্ত্র আইনের দেশগুলোর একটি হলো জার্মানি। এর পরও গত দেড় দশকে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার অস্ত্র আইন আরো কঠোর হয়েছে।
বিবিসি জানায়, জার্মানিতে অস্ত্র ক্রেতার বয়স ২৫ বছরের কম হলে, তাঁকে মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা দিতে হয়। স্বয়ক্রিয় অস্ত্র জার্মানিতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিকার ও প্রতিযোগিতায় আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে কঠোর নিয়ন্ত্রণের পরও নাগরিকদের হাতে অস্ত্র পাওয়ার হারের দিকে অন্যতম শীর্ষ দেশ জার্মানি। এর আগে আছে তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড।
শুধু অস্ত্র আইনই নয় সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায়ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় জার্মানি। দেশটির বাভারিয়া রাজ্যের মন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান বলেন, অভিষ্যতে সন্ত্রাসী হামলায় সেনাবাহিনী ব্যবহারের অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।