পিরোজপুরে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগকর্মী নিহত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ সোমবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. লিটন (৩০) নামের এক যুবলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
হাসপাতাল ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে মঠবাড়িয়ার গুদিঘাটা বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আহসান ওরফে টুকুকে (৫০) হাতুরিপেটা করেন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের সমর্থকরা। নাজমুল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের সমর্থক। নাজমুল আহত হওয়ার খবর পেয়ে মেয়রের সমর্থকরা গুদিঘাটা এলাকায় গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থক আল আমিনকে (২৫) কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরে মহড়া দিতে থাকে। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা মেয়রের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় কেউ বাড়িতে না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে হামলাকারীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। মেয়রের বাসায় হামলার পর উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে পাঁচজন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিটন মারা যান। আহত চারজনের মধ্যে দুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।