পিরোজপুরে স্ত্রী-ছেলেমেয়েকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি
স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন পিরোজপুরের একটি আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মঠবাড়িয়া উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের আলমগীর হোসেন।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় দেন। আদালত রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন। আসামি আলমগীর হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর তাঁর বাড়ির পাশে জনৈক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আলমগীর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে তাঁর স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), ছেলে আশরাফুল (১১) ও মেয়ে জামিলাকে (৩) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আলমগীর ওই দিন রাত ১১টায় শ্যালক আবুল বাসারকে ফোন করে জানান, তাঁদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে এবং ডাকাতরা তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে। আসামির চিৎকারে লোকজন এসে ঘরে মশারি উঠিয়ে দেখে, খাটের ওপরে তিনটি গলাকাটা লাশ।
পরের দিন ২৩ জুন হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাসার মঠবাড়িয়া থানায় আলমগীরকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৪ জুন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে পালিয়ে যান।
মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক মামলা পরিচালনা করেন।