পানিবন্দি হলেও ঘরে ১০ মণ চাল
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অভিযোগ করেছেন, সরকার বন্যার্তদের সাহায্য-সহযোগিতা ও পুনর্বাসন করলেও গণমাধ্যমে সেসব খবর আসে না। তারা শুধু নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের অবস্থা দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘কত হাজার মানুষকে রিলিফ দিয়ে সাহায্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু একটা পত্রিকাও সেটা বলল না। যে এক লাখ ২০ হাজার, ৮০ হাজার, ৭০ হাজার লোককে ১০ কেজি, ২০ কেজি বা পাঁচ কেজি করে চাল দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা এবং তাদের পুনর্বাসনের সার্বিক ব্যবস্থা করছেন কিন্তু এগুলোর একটা বিষয়ও গণমাধ্যমে উঠে আসল না। গণমাধ্যম খালি নেগেটিভ নিউজ করে। এক লাখ লোকের মধ্যে একজনকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন সে রিলিফ পেয়েছেন কি না। সে পানিবন্দি হতে পারে কিন্তু তার ঘরে ধান আছে, ১০ মণ চাল আছে। তাই সে তো রিলিফই নিবে না। অথচ আপনারা এ রকম লোকের সাথে কথা বলে লিখছেন মানুষ রিলিফ পাচ্ছে না। আপনাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে যে অমুক গ্রামের এত মানুষ চাল পায়নি, তাদের সাহায্য দরকার তাহলে আমরা সেখানে অবশ্যই ছুটে যাব। আমাদের সরকার বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষের জন্য যা করছে এবার সেটাই তুলে ধরুন।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, তিস্তাপাড়ের বন্যা দুর্গতরা রিলিফ নয়, স্থায়ী বাঁধ চায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উত্তরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের জন্য স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘প্যাকেজ ওয়ার্ক’ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে মন্ত্রী হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ও সানিয়াজান ইউনিয়নের মণ্ডলবাজার এলাকায় বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। দোয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংসদ সদস্য অসিম কুমার উকিল, লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমী, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মেদ, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী প্রমুখ।