হাকিমপুরে লাঠির আঘাতে যুবলীগ নেতা নিহত
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রামে বিরোধপূর্ণ পুকুরে কচুরিপনা পরিষ্কার করা নিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হয়েছেন বোয়ালদাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সুজন (৩৩)। তিনি বৈগ্রাম যুব ক্লাবেরও সভাপতি ছিলেন।
আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন বৈগ্রামের মৃত সেলিম উদ্দীন সরদারের ছেলে। তাঁকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন সুজনের প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে বৈগ্রাম যুব ক্লাবের সদস্যরা ক্লাবের পূর্ব পাশের পুকুরে কচুরিপনা পরিষ্কার করতে নামে। এ সময় গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে রবিউল ইসলাম পুকুরের মালিকানা দাবি করে কাজ বন্ধ করতে বলেন। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে শফিকুল ও তাঁর ছেলে রবিউল পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বদিউজ্জামান সুজনকে আচমকায় লাঠি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে সুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু রংপুরে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সুজনের।
এদিকে সুজনের নিহত হওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা শফিকুলের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং আগুন দিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনার পর থেকে শফিকুল, তাঁর ছেলে রবিউলসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
হাকিমপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এ টি এম সিফাতুল মাজদার জানান, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে সুজনের মাথার উপরের ডান দিকে লাঠির আঘাতে কেটে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা নয়টি সেলাই দিয়েছেন।
একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সবুর জানান, দুপুর পর্যন্ত থানায় মামলা করা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আবদুস সবুর।