একেই বলে শুটিং
যেভাবে তৈরি হলো ট্রান্সফরমার্স
যারা ধুমধারাক্কা অ্যাকশন আর ভিজ্যুয়াল গ্রাফিক্সের ছবি দেখতে পছন্দ করেন তাদের কাছে ‘ট্রান্সফরমার্স’ খুবই পরিচিত নাম। ট্রান্সফরমার্স সিরিজের ছবিগুলো যেমন ব্যয়বহুল তেমনি এর নির্মাণ প্রক্রিয়া কষ্টকর ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে ছবিগুলো ব্যবসায়িক সফলতা এর জনপ্রিয়তাকে নির্দেশ করে। ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ট্রান্সফরমার্স সিরিজের প্রথম ছবি ‘ডার্ক অব দ্য মুন’।
২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ট্রান্সফরমার্স সিরিজের চতুর্থ ছবি ‘ট্রান্সফরমার্স : এজ অব এক্সটেনশন’। এখন পর্যন্ত এটাই ট্রান্সফরমার্স সিরিজের সর্বশেষ ছবি। এই সিরিজের পরবর্তী ছবি ‘ট্রান্সফরমার্স : দ্য লাস্ট নাইট’ মুক্তি পাবে আগামী বছরের ২৩ জুন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই থ্রিডি সায়েন্স ফিকশন ছবিটি পরিচালনা করেন মাইকেল বে। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখেন এরেন ক্রুগার। স্টিভেন স্পিলবার্গ ও মাইকেল বে ছিলেন ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক।
ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন মার্ক ওয়েলবার্গ ও স্ট্যানলি টুসি। বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
২০১৩ সালের ২৮ মে ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দেন পরিচালক মাইকেল বে। এই ছবির শুটিংয়েই প্রথম ছোট আকৃতির ডিজিটাল আইম্যাক্স থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আইম্যাক্স ৭০ মিলিমিটার ফিল্ম ক্যামেরা, ডিজিটাল স্টেরিও থ্রিডি ও আনামরফিক ও সেফ্রিক্যাল ৩৫ মিলিমিটার ফিল্ম ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ছবিটির শুটিং করা হয় হংকং ও চীনে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়টে বেশকিছু দৃশ্যধারণ করা হয় ছবিটির।
১৬৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটিতে প্রায় ৯০ মিনিটের মতই ছিল ভিএফএক্সের। ছবিটির ভিএফএক্স সুপারভাইজার ছিলেন স্কট ফারার। তিনি জানান, এটা ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম পরিশ্রমসাধ্য কাজ। পাঁচশতাধিক ক্রু ও আর্টিস্ট সামলে কাজ করতে হয়েছিল ছবিটিতে।
ছবিটির দৃশ্যধারণ করতে নয়টি আলাদা ফরম্যাটের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এসব ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে আইম্যাক্স ফিল্ম, আইম্যাক্স ডিজিটাল, সিঙ্গেল-ফ্রেম অ্যানামরফিক ফিল্ম, গোপ্রো, ক্র্যাশক্যামস ও রেড ক্যামেরা।