হাকিমপুরে আ. লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে সভাপতির জিডি
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ৩ নম্বর আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাবুর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। সভাপতি আবদুর রাজ্জাক গতকাল বুধবার রাতে চেয়ারম্যান বাবুসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হাকিমপুর থানায় এই জিডি (নম্বর ১১৮৮) করেছেন।
আবদুর রাজ্জাক জিডিতে উল্লেখ করেন, আলীহাট ইউনিয়নের মনসাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াদ হোসেনের ল্যাপটপ হারানো নিয়ে গোলাম রসুল বাবু গত ২৪ আগস্ট রাতে গ্রামে একটি সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলক বিচারবহির্ভূত সালিশ ডাকেন। ওই সালিশে আমার ছোট ভাই ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ তার চার ছেলে হারুনুর রশিদ, আসমাউল, রাসেল ও ফরহাদকে ডেকে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকজন।
এ সময় সেখানে বিচারবহির্ভূত সালিশ বসিয়ে তাঁর মদদে রিয়াদ ও তার লোকজন আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর ছেলেদের ওপর দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে রাসেল ও ফরহাদ গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাবুকে ইন্ধনদাতা উল্লেখ করে হামলাকারী প্রতিপক্ষের সাতজনের নামে হাকিমপুর থানায় গত ২৫ আগস্ট মামলা করা হয়। এ মামলার জের ধরে ৩০ আগস্ট সকালে চেয়ারম্যান বাবুসহ মামলার আসামিরা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিয়ে বলে আমরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছি। মামলা তুলে না নিলে মামলার কী স্বাদ বুঝিয়ে দেব বলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সবুর জানান, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বাবুর নামে থানায় জিডি করা হয়েছে। আলীহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক গতকাল বুধবার রাতে জিডিটি দায়ের করেছেন। চেয়ারম্যান বাবু গ্রাম্য সালিশের নামে একের পর এক বিচারবহির্ভূত কাজ করছেন। এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বাবু বলেন, ‘রিয়াদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সালিশ ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আমার কোনো ইন্ধন নাই। আমাকে হেয় করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই অভিযোগ করছে।’ তবে জিডির বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।