অনূর্ধ্ব-১৬ অধিনায়ক কৃষ্ণার গ্রামে উচ্ছ্বাস, সংবর্ধনা
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আয়োজিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ‘সি’ গ্রুপের বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী দাসের গ্রামে যেন আনন্দের বন্যা বইছে। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কীর্তিমান এই নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকেলে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের চার খেলোয়াড় গোপালপুরে পৌঁছলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণা ও তার সতীর্থদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় কৃষ্ণা প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ‘এখন আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশকে নারী ফুটবলকে উচ্চ শিখরে নেওয়া।’
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার অজপাড়া পাথালিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কৃষ্ণাকে নিয়ে এখন আনন্দের সীমা নেই সহপাঠী ও শিক্ষকদের। সরেজমিনে জানা যায়, দরিদ্র পরিবার হওয়ায় ঠিকমতো লেখাপড়ার খরচও চালাতে পারেননি কৃষ্ণার বাবা-মা।
কিন্তু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ভালো ফুটবল খেলত কৃষ্ণা। আর এ খেলার কারণে শিক্ষকদের নজরে পড়ে গোপালপুরের স্থানীয় সুতি ভিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় সে। এখানে খেলাধুলা আর লেখাপড়া একসঙ্গে চলে তার। এরপর এই স্কুল থেকেই একে একে স্থানীয়, জাতীয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনকে মুগ্ধ করেছে প্রতিভাবান কৃষ্ণা।
কৃষ্ণার এই সাফল্যে তার পরিবার এবং এলাকাবাসীর পাশাপাশি গোটা টাঙ্গাইল গর্বিত বলে জানান সুতি ভিএম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ। আর বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক গোলাম রায়হান বাপন জানান, শুধু কৃষ্ণাই নয়, এই স্কুল থেকে আরো পাঁচ ছাত্রী জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
এদিকে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী তালুকদার জানান, কৃষ্ণা রানী দাসের এই সাফল্যে শুধু গোপালপুরই নয়, সারা দেশই গর্ববোধ করছে। তিনি বলেন, নারী ফুটবলে এই সফলতা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনসহ সরকারকে আরো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।