গ্যালাক্সি নোট ৭ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে স্যামসাং
কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে স্যামসাং নোট ৭ বিস্ফোরণের ছবি এবং ভিডিও। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনজ্যুমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন (সিপিএসসি) নোট ৭ ব্যবহারকারীদের ডিভাইসটি চার্জ দেওয়া থেকে শুরু করে সব রকমের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেছে। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে এ খবর।
অন্যদিকে সিপিএসসি ম্যাশেবলকে জানিয়েছে, স্যামসাং আনুষ্ঠানিকভাবে সব নোট ৭ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা খুব শিগগিরই দেবে। এরই মধ্যে স্যামসাং নোট ৭ বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে তারা চালু করেছে ‘নোট ৭ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’।
এই প্রোগ্রামের অধীনে একজন ক্রেতা তার পুরোনো নোট ৭-এর বিনিময়ে একটি সিপিএসসি অনুমোদিত নতুন নোট ৭ পেতে পারেন। যদিও ত্রুটিহীন নতুন নোট ৭ এখনো বাজারে আনেনি স্যামসাং। আবার একটি নোট ৭-এর বিনিময়ে একজন ক্রেতা গ্যালাক্সি এস ৭ কিংবা এস ৭ এজ মডেলের যেকোনো একটি এবং অতিরিক্ত অর্থ পেতে পারবেন।
সিপিএসসি তাদের এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, নোট ৭ নিয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার মূলে রয়েছে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের কিছু ঘটনা। আর এই ঘটনাগুলো চার্জে দেওয়ার সময় কিংবা সাধারণ ব্যবহারকার্য, উভয় সময়ই ঘটেছে। আর তাই তারা নোট ৭ ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার জন্যই পরামর্শ প্রদান করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, স্যামসাং এসডিআইয়ের নির্মিত ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ ঘটছে। মোট ২৫ লাখ নোট ৭-এর ৭০ শতাংশ ব্যাটারি নির্মাণ করেছে স্যামসাং এসডিআই। বাদ বাকি ৩০ শতাংশ ব্যাটারি নির্মিত হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান অ্যামপেরেক্স টেকনোলজিস লিমিটেডের অধীনে।
স্যামসাং তাদের যুক্তরাজ্যের জন্য পরিচালিত ওয়েবসাইটে এই ঘটনার কারণ হিসেবে নিজেদের ব্যাটারি নির্মাণের ত্রুটিকেই দুষছে। ব্যাটারির অ্যানোড ও ক্যাথোড, এই দুই তড়িৎ দ্বারের সংস্পর্শে চলে আসাকেই মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে স্যামসাং।
তবে কারণ যাই হোক ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে স্যামসাংকে। সেটি আর্থিক এবং ভাবমূর্তি, দুই দিক থেকেই। আর ঠিক এমন সময়ে এ ধরনের একটি ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের যখন অ্যাপল তাদের পরবর্তী আইফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিল। ধারণা করা হচ্ছে নোট ৭ অদল-বদলের ক্ষেত্রে স্যামসাংয়ের এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।