কলেজছাত্র হত্যায় তিনজনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কলেজছাত্র রুবেল হত্যা (২০) মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মিরাজ (২০), আবদুল জলিল (২২) ও আবুল কালাম (২৩)। এর মধ্যে প্রধান আসামি মিরাজ পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, ফারুখ খাঁ ও রিয়াজ খাঁ।
রুবেল মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল আকনের সঙ্গে সহপাঠী ছাত্রী ইতির প্রেমের সম্পর্ক এবং বাড়ির পাশের জমি নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে রুবেলকে তার বোনের বাড়ি ঘটিচোরা গ্রাম থেকে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে ওই উপজেলার উত্তর মিঠাখালী এলাকায় মো. জব্বার মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে সুপারি বাগানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন এবং লাশ মাছুয়া ভারানী খালে ফেলে দেন। পরের দিন ২৩ জুন খালে রুবেলের লাশ ভেসে ওঠে এবং একই দিন রুবেলের বাবা মো. হাবিবুর রহমান আকন মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে বাদীর লিখিত আপত্তির পরিপেক্ষিতে বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে এসআই বজলুর রহমান সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামি আবুল কালাম ও জলিল দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন এবং আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক কাঞ্চন, অ্যাডভোকেট আসানুল কবির বাদল ও কানাই লাল বিশ্বাস।