১০ টাকার চালে অনিয়ম, আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা ১০ টাকা কেজির আট বস্তা চালসহ আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পুলিন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ওয়ার্ডে ১০ টাকা কেজিদরে চাল বিক্রির জন্য সরকার নিয়োজিত ডিলার।
পুলিন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে খানসামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামারুজ্জামান একটি মামলা করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিন চন্দ্র রায়ের ডিলারশিপের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মতিন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেবুর রহমান পুলিশ নিয়ে ডিলার পুলিন চন্দ্র রায়ের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় ওই বাড়ি থেকে ১০ টাকা কেজিদরের আট বস্তা চালসহ তাঁকে আটক করা হয়।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা পুলিন চন্দ্র রায়কে আটক করে থানায় নেওয়ার পর তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে নেতাকর্মীরা খানসামা থানা ঘেরাও করেন।
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও সাজেবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁর কাছে গোয়ালডিহি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন হতদরিদ্র ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁরা নির্ধারিত কার্ড পাওয়ার পরও পুলিন তাঁদের ১০ টাকা কেজিদরে চাল দিচ্ছেন না। যাঁরা চাল পাচ্ছেন তাঁরাও নির্ধারিত ৩০ কেজির চেয়ে কম চাল পাচ্ছেন। এসব অভিযোগ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আট বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পুলিন ওই সব চাল হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ না করে আত্মসাতের জন্য নিজের ঘরে রেখে দিয়েছিলেন।
খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আট হাজার ১৯৭ জন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজিদরে চাল দেওয়ার জন্য কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ১২ জনকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত রোববার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি খানসামা উপজেলা শাখার উদ্যোগে সহস্রাধিক হতদরিদ্র বঞ্চিত মানুষ তাঁদের তালিকাভুক্ত করে চাল দেওয়ার দাবিতে উপজেলা সদরে বিশাল বিক্ষোভ বের করে। তারা মিছিল নিয়ে ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করে। এরপর ইউএনও সাজেবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় গোয়ালডিহি ইউনিয়নে গাঁজা সেবনের দায়ে আসিফ নামের এক যুবককে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।