রম্য
কাদের স্যালুট জানানো উচিত?
খেলার মাঠে আউটের পর বেন স্টোকসকে স্যালুট জানিয়ে এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আমরা যেহেতু মাঠে খেলি না, তাই মাঠের বাইরে কাদেরকে এ রকম স্যালুট জানাতে পারি, চলুন দেখে আসি।
১. ঢাকার রাস্তায় রিকশাওয়ালাদের স্বভাব কেমন, তা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে ঠ্যাংয়ের ওপর ঠ্যাং তুলে ঘুমাবে, তাও ডানে, বাঁয়ে, ওপরে, নিচে কোথাও যেতে রাজি হবে না। এর মধ্যে যখন দু-একজন রিকশাওয়ালা পাওয়া যাবে, যাঁরা নিজে থেকেই এসে বলবে—স্যার, কই যাবেন? এদের দেখামাত্রই স্যালুট দেওয়া যায়!
২. আমাদের দেশে মিটারে চলা সিএনজি অটোরিকশা খোঁজা আর পৃথিবীর বুকে আবারও ডাইনোসরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেন একই বিষয়! কোনো সিএনজিওয়ালাই মিটারে যাবে না। আর গেলে অবশ্যই মিটার থেকে ২০-৫০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। তো, কাউকে যদি পাওয়া যায় যে বাড়তি ভাড়া ছাড়াই মিটারে যাবে, তাঁকে তাৎক্ষণিক স্যালুট মারা উচিত।
৩. তেলের দাম বাড়লে এ দেশে গাড়ি ভাড়া বাড়ে, কিন্তু তেলের দাম কমলে দেশের কোথাও ভাড়া কম রাখতে দেখা যায় না। যারা এর ব্যতিক্রম হবে, মানে তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের বলে উঠবে—তেলের দাম তো কমেছে, ভাড়া একটু কমায় দেন, তাদের চোখ বুঝেই স্যালুট দেওয়া যায়।
৪. ফুটপাত হাঁটার জন্য হলেও আমাদের দেশের বেশির ভাগ ফুটপাতই দেখা যায়, অবৈধ দোকানদারের হাতে দখল হয়ে আছে। রাস্তার পাশে একটু জায়গা থাকলেই লোকজন চেষ্টা করে, সরকারি রাস্তাটাকেও নিজের মনে করে দখল করতে। যাঁরা এই কাজ না করে উল্টো নিজের অংশ থেকে দুই-তিন হাত জায়গা ছেড়ে দেবেন জনগণের হাঁটার সুবিধার জন্য, তাঁদের একটা স্যালুট জানানোই যায়।
৫. সরকারি-বেসরকারি অফিসের চেয়ারে বসে যাঁরা টাকার জন্য ফাইল আটকে না রেখে এমনিই সেটা ছেড়ে দেবেন, তাঁদেরও সবার পক্ষ থেকে একটা স্যালুট দেওয়া যায়।