দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে হরিজনপাড়ায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের আগুনে ১০টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মুর্শিদহাট রেল কলোনি হরিজনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে খোলা আকাশর নিচে অবস্থান করছে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। ঘটনার পর জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় ক্ষতিগ্রস্তরা।

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান জানান, গত রাত ৩টার দিকে ওই পাড়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা একেক করে সাতটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লাগিয়ে দেয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আরো তিনটি বাড়িতে। আগুন থেকে বাঁচতে ১০টি পরিবারের ৪৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশু ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই ১০টি বাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারী বলেন, আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন কিছু নেই। বড় বড় মেয়ে আছে। এদের নিয়ে এই শীতের মধ্যে এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।

ঘটনার পর সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুস সবুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবসার আলী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ জামান আশরাফ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীলাব্রত কর্মকার ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ জামান আশরাফ বলেন, ‘জুয়েল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। জুয়েল জেলে ছিল। জামিন পেয়ে আসার পর ঘটনাটা ঘটিয়েছে। যেহেতু অভিযোগ আছে, আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সে রেহাই পাবে না। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা প্রদানেও আমরা সচেষ্ট থাকব।’