সাঁওতালদের ওপর হামলা, ঘটনাস্থলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার যে অভিযোগ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা সরেজমিনে তদন্ত করতে গেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি জানান, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন জাতীয় সংসদের আদিবাসী বিষয়ক ককাসে উপস্থাপন করা হবে।
আজ সোমবার সকালে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনা তদন্ত ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাজী রিয়াজুল হক।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি, আমাদের একটা আদিবাসীদের একটা ককাস আছে পার্লামেন্টে সেই ককাসের এমপি সাহেবদের নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে এখানকার সাঁওতালদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে, সেই নির্যাতনটা কতটুকুন হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের ভেতর আতঙ্ক কাজ করছে কি করছে না সেইটা আমরা সরেজমিনে দেখার জন্য। তাদের ব্যাপারে যে সমস্ত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে, যে তাদের এখানে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নেওয়া হয়েছে এই বিষয়গুলো সরেজমিনে এসে আমরা এই পার্লামেন্টের ককাস যেটা আছে আদিবাসীদের ওপরে তাদের এই ককাসের সাংসদবৃন্দের সঙ্গে আমরা এখানে এসেছি। এটা দেখব আমরা, আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলব, কথা বলে তারপর যেটুকুন আমরা বুঝতে পারব তখন আপনাদের সাথে আমরা আবারও কথা বলব।’
পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ককাস ও ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্ত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া সাঁওতালপল্লী ঘুরে দেখে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শোনে।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন আদিবাসীবিষয়ক ককাসের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদ সদস্য টিপু সুলতান, কে এম ফজলুল হক, ইউএনডিপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী মেজবাহ কামাল, মানাবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) শরিফ উদ্দীনসহ মোট আটজন।