ট্রাম্পকে ‘সত্যিকার যুদ্ধের’ হুমকি রাশিয়া ও ইরানের
সিরিয়ার ওপর আবারও বিমান হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক জবাব দেওয়া হবে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে রাশিয়া ও ইরানের সেনাবাহিনী।
এই হুমকির ফলে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারা বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর ওপর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সীমা লঙ্ঘন করেছে।
‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে সেনাপ্রধানরা বলেছেন, ‘এখন থেকে সীমা লঙ্ঘন করা হলে আমরা তার জবাব দেব এবং আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আমেরিকা ভালোভাবেই জানে।’
লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস গতকাল রোববার রাতে বলেছে, সিরিয়ার ব্যাপারে রাশিয়াকে যদি আলটিমেটাম দেওয়া হয় তাহলে সত্যিকার যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব বোরিস জনসন সোমবার বলেছেন, যদি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে সমর্থন করা থেকে রাশিয়া বিরত না থাকে তবে তাদের কঠিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে।
ইতালিতে জি ৭-এর সভায় রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে বিছিন্ন করার হুমকি দেবেন জনসন। সেই সঙ্গে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক শাস্তিও আরোপ করা হতে পারে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ম্যাক মাস্টার বলেছেন, যদি প্রয়োজন পড়ে তবে সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে পদক্ষেপ নেবে।
‘আমরা যেকোনো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি মনে করি তা আমেরিকার জনগণের পছন্দ হবে। ম্যাক মাস্টার বলেন, মস্কো হত্যাযজ্ঞের শাসনকে সমর্থন করছে। এর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ভর করছে।
যুদ্ধের হুমকি সত্ত্বেও ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তে বিমান হামলা চালাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ১৬ বারের মতো গতকাল রোববার ট্রাম্প ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে তাঁর ব্যক্তিগত গলফ মাঠে অবকাশ যাপনে গিয়েছেন। যদিও নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি হয়তো কখনোই তাঁর গলফ মাঠ দেখতে পারবেন না। কারণ তাঁকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে।
গত শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলার আদেশ দেন।
সিরিয়ার আসাদ সরকার ক্যামিলেক আক্রমণ চালিয়ে শিশুসহ ৮৭ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে এমন ধারণা থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে ৫৯টি ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়া, ইরান এবং ইসলামী ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ হিজবুল্লাহ যৌথভাবে আমেরিকাকে সতর্ক করেছে। তাঁরা বলেছে, ভবিষ্যতে সিরিয়ার ওপর আর কোনো হামলা মেনে নেওয়া হবে না।
এক বিবৃতিতে তারা বলছে, ‘আমেরিকা রেডলাইন অতিক্রম করে সিরিয়ার ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। এখন থেকে যেকোনো আক্রমণ বা রেডলাইনের সীমা লঙ্ঘনের জবাব আমরা দেব। আমেরিকা আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানে।’