নাটোরে স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি হলেন আশরাফ আলী। আর খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শাজাহান আলী ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩১ মে সন্ধ্যায় সদর উপজেলার হালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অনন্ত কুমার চক্রবর্তী প্রাইভেট পড়া শেষে হালসা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়। অপহরণকারীরা তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পরের দিন হালসা এলাকার একটি পান বরজ থেকে অনন্তর বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ শাজাহান আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন ও আশরাফ আলী নামের তিন ব্যক্তিকে আটক করে। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ আশরাফ আলীকে মৃত্যদণ্ডাদেশ এবং বাকি দুজনকে খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আশরাফ আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর শাজাহান আলী ও আবদুল্লাহ আল মামুন জামিনে ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন উজ্জ্বল।