রাতভর ধাওয়া করে পুলিশ পেল ৩২ বস্তা মরিচ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী থানার পুলিশ রাতভর ধাওয়া করে ৩২ বস্তা কাঁচামরিচ উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশের যৌথ অভিযানে কাঁচা মরিচবোঝাই একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বলেন, গতকাল রাতে নীলফামারী থেকে তিস্তা ব্যারাজ হয়ে লালমনিরহাটে যাচ্ছিল পণ্যবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। তল্লাশি চৌকিতে ওই পিকআপটি থামানোর জন্য নির্দেশ দেয় জেলার বড়খাতা হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু নির্দেশ না মেনে পিকআপটি বুড়িমারী মহাসড়ক দিয়ে লালমনিরহাটের দিকে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, পিকআপটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রম করায় পুলিশের ধারণা হয়, গাড়িটিতে অবৈধ পণ্যের চালান রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে ওই পিকআপকে আটক করতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহায়তা নেয় হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু তারা আটক করতে ব্যর্থ হয়। পরে হাতীবান্ধা থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ পুলিশ তাদের থানার সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিন্তু তাতেও পিকআপটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এরপর পুলিশ বাজারে স্থানীয়দের সহায়তায় একাধিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পিকআপচালক ওই প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে বেপরোয়া ও ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে যায়। পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ পিকআপটির পেছনে ছোটে।
হরেশ্বর রায় বলেন, ওই পিকআপটি ধরতে সবশেষে আদিতমারী থানায় জানানো হয়। পরে থানার সামনের রাস্তায় কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড় করিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এতে রাস্তা পার হতে না পেরে আদিতমারী থানার পাশে পিকআপটি গর্তে ফেলে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী চালক।
ওসি বলেন, পরে ওই পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে ৩২ বস্তা কাঁচামরিচ পাওয়া যায়। পিকআপচালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেলেও কাঁচামরিচের মালিক আবু বকর সিদ্দিক সেখানেই ছিলেন। পরে তাঁর উপস্থিতিতে ওই বস্তাগুলো একে একে সব খোলা হয়। কিন্তু বস্তাগুলো থেকে কাঁচামরিচ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। পরে লালমনিরহাটের ওই ব্যবসায়ীকে মরিচগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পিকআপটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক ও সহকারীকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদের আটকের পরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।