শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৯১
বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কমপক্ষে ৯১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে আরো শতাধিক। গতকাল শুক্রবার শ্রীলংকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
দেশটির দুর্যোগ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) ও উদ্ধারকারী সংস্থার দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানায়, এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই বন্যায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাও অনেক বেশি।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে সামরিক বাহিনীর নৌকা ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
শ্রীলংকার পুলিশের মুখপাত্র প্রিয়নান্থ জয়কুদি জানান, বন্যা ও ভূমিধসে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা কালুতারা। এখানে কমপক্ষে পাঁচটিরও বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
মুখপাত্র এই বন্যা ২০০৩ সালের বন্যার চাইতে আরো বেশি বিধ্বংসী হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। ওই বছরের বন্যায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল, নিহত হয়েছিল ২৫০ জনের বেশি মানুষ।
এদিকে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ছে। ডিএমসি কেলানি নদীর তীরে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
শ্রীলংকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপমন্ত্রী ধুনেশ জ্ঞানকাণ্ড বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বর্ষাকালে শুরুতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই বন্যার সূচনা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সরকারি বাহিনীর পক্ষে অনেক স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে অনেক স্থানে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।’
জ্ঞানকাণ্ড আরো বলেন, বন্যায় নিহতের সংখ্যা বাড়ায় দেশটি জাতিসংঘ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইবে।