সহকর্মীকে পেটাতে পেটাতে চেয়ার ভাঙলেন শিক্ষক
মেহেরপুর সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পেটাতে পেটাতে চেয়ার ভেঙে ফেলেছেন এক সহকারী শিক্ষক।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুন ও অফিস সহকারী আশিকুর রহমান ফরম পূরণের টাকা ব্যাংকে জমা দেন। এতে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আইউব আলী ক্ষিপ্ত হয়ে আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে বেধড়ক পেটান। এ সময় বিদ্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে অফিস সহকারী আশিকুর রহমানকে মারধর করেন ওই শিক্ষক। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী চলে গেলে শিক্ষকরা স্কুল ছুটি ঘোষণা করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় তিন দিন ধরে আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছি। গতকাল শিক্ষা কর্মকর্তা এসে কম্পিউটার শিক্ষক আইউব আলীকে বিদ্যালয়ে না পেয়ে তাঁর হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে দেন। আইউব আলী আজ বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লেখা দেখে ক্ষিপ্ত হন। আমার কাছে কারণ জানতে চান। এ সময় আইউব আলীর অনুমতি ছাড়া ফরম পূরণের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে কেন তা নিয়ে তিনি বকাবকি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে অফিসে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকেন। চেয়ারটি ভেঙে গেলে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চলে যান।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে শিক্ষক আইউব আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।