‘কিমকে হত্যা করতে’ বিশেষ বাহিনী
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে হত্যা করতে সক্ষম এমন একটি বিশেষ বাহিনী গড়ে তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানের বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, তারা একটি বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন ও ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের খুঁজে বের করে হত্যা করতে সক্ষম।
এই বিশেষ বাহিনী কাছাকাছি এক হাজার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে আঘাত হানতে পারবে। এরা পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেও সক্ষম। একই সময় তারা স্বৈরশাসক কিম জং উনকে তাঁর অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক অনুশীলনে অংশ নেয়। এতে সাড়ে ১৭ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সেনা অংশ নেয় বলে সিউল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
অন্যদিকে জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে এটা তাদের প্রথম পদক্ষেপ উল্লেখ করে বলে, পরবর্তী লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের হায়ামে হামলা করা।
এ রকম পরিস্থিতিতে কিম জং উনকে হত্যায় সক্ষম বিশেষ বাহিনীর কথা তুলে ধরল দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটি বলছে, উত্তর কোরিয়া যদি দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর হামলা করে তার জবাবের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিশেষ বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, কিম জং উন যেসব আক্রমণাত্মক বক্তব্য-কর্মকাণ্ড করছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করেছে।
কিমের আক্রমণাত্মক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি তাদের সীমা অতিক্রম করে কিংবা আমাদের রাজধানীতে আক্রমণ করে, তার জবাব দিতে আমাদের সামরিক বাহিনীর প্রস্তুত থাকা উচিত।
সাউথ কোরিয়ান পার্লিয়ামেন্টস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান লি চল ও বলেন, ‘কিম তাঁর গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তাঁকে ‘হত্যা অপারেশন’ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় কোনো লাভ নেই। রাশিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ বা অন্যকিছু করা হলে দেশটি আরো ক্ষেপে যেতে পারে।