টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
টাঙ্গাইলের বাসাইল লিংক রোডে ক্ষুদিরামপুর নামক স্থানে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আরো তিনজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হলেন। আহত হয়েছেন দুজন।
এর আগে আজ সকালে মধুপুর উপজেলার টেলকি এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের শুভ (৪৮), শম্পা (৮), সোহেল রানা (৩৫), মেহেদী (২৫), মমতাজ বেগম মায়া (৫৫), বুলু (৩৫), হাজেরা বেগম (৫২) ও রেজবি (১৪)।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে মহাসড়কের ক্ষুদিরামপুর এলাকায় ঢাকামুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। আহত হন পাঁচজন। দুমড়েমুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। দুর্ঘটনার পরপর মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। পরে হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে আজ সকালে মধুপুর উপজেলার টেলকি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হন। এঁরা হলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুরের হাসনাত চৌধুরী হিমেল (২২) ও সিরাজুল ইসলাম সোহাগ (২৩)।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেলে করে নেত্রকোনায় বেড়াতে যান দুই বন্ধু হিমেল ও সোহাগ। আজ নেত্রকোনা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। একপর্যায়ে উপজেলার টেলকি এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ তাঁদের মোটারসাইকেলটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহাগ নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় হিমেলকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হিমেলের অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।